বেইলী রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের শোক প্রকাশ এবং সঠিক তদন্তের দাবি
এক যৌথ বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃদ্বয় বলেন, ' ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৪৬ জন নিহত হয়েছে এবং অনেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গণঅধিকার পরিষদ এর পক্ষে থেকে আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বহুতল ভবন তৈরিতে নগর কতৃপক্ষের নিয়ম না মানা এবং নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে এই ধরণের দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। কিন্ত দুর্ঘটনা এড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা প্রায়ই দেখি, এমন দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পৌঁছাতে, আগুন নেভাতে যথেষ্ট সময় লাগে। ফলে দুর্ঘটনা চরম মাত্রায় ধারণ করে হতাহতের সংখ্যা বাড়ে। সরকার বিরোধীমত দমনে অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি ক্রয় করে থাকলেও, আগুন নেভাতে অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি কিনেছে বলে শোনা যায় না। প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও সরকারের অমনোযোগিতা ও অবহেলা এখনো প্রতীয়মান ও সুস্পষ্ট। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে ফায়ার সার্ভিসকে আরও উন্নত করে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু এই অবৈধ সরকারের সমস্ত মনোযোগ ক্ষমতার ভোগদখল এবং বিরোধীমত দমনে। রাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনা, অন্যায়- অনাচার, দুর্নীতি দূরীকরণ এবং নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় তাদের কোন মনোযোগ নেই। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে আজ অব্যবস্থাপনা ও অরাজকতা বিরাজ করছে।
এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও আহতের সুচিকিৎসার যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া এবং ভবন নির্মাণে মালিকপক্ষের কোন অব্যবস্থাপনা-অনিয়ম আছে কি না, তদন্ত সাপেক্ষে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন নেতৃদ্বয়।
বার্তা প্রেরক,
শাকিল উজ্জামান
দপ্তর সম্পাদক
গণঅধিকার পরিষদ
