তারেক রহমানের নির্দেশনায় আগুন-সন্ত্রাস হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

 


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় গণপরিবহনে একের পর এক আগুন-সন্ত্রাস ঘটানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে নাশকতার ছবি ও ভিডিও লন্ডন প্রবাসী তারেক রহমানকে পাঠালে নাশকতাকারীদের বিএনপিতে পদোন্নতিসহ নানাভাবে ‘পুরস্কৃত’ করা হয়।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। 


আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজনীতির নামে এত জঘন্য ও ঘৃণ্য নাশকতা এবং মানুষ পুড়িয়ে মারার মহোৎসব পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে ঘটে নাই, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত করে চলেছে। নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে যারা পুড়িয়ে হত্যা করে, তারা দেশ, জাতি-সমাজ ও মানুষের শত্রু। বিএনপি-জামায়াত আজকে দেশ, জাতি-সমাজ ও মানুষের শত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে।’ ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয় শনিবার সকাল ৬টা থেকে। 

এর আগে গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ চারজনের প্রাণহানি ঘটে, আহত হন অর্ধশতাধিক যাত্রী। 

শুক্রবার রাতেই খবর আসে ঢাকার ডেমরায় বাসে ও বগুড়ায় চলন্ত ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে, রাজশাহী মহানগরে দুটি ভোটকেন্দ্রে আগুনের ঘটনার খবর আসে। রাজশাহীতে একটি ভোটকেন্দ্রের পাশ থেকে ককটেল উদ্ধার করা হয়। 

এসব ঘটনায় বিএনপিকে দোষারোপ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা চেষ্টা করছে, এগুলো করে নির্বাচনে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেই পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য। আগুন-সন্ত্রাস করে ভোটউৎসব ম্লান করা যাবে না, যেসব নেতারা এ সব ঘৃণ্য ও জঘন্য কাজের নির্দেশদাতা তারাও সমান অপরাধে অপরাধী। জনগণের দাবি হচ্ছে, ভদ্রবেশী সুবেশধারী এ সব নেতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার।’ 


তিনি আরও বলেন, 'যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আমাদের প্রধান কিছু কাজের মধ্যে অন্যতম হবে আগুন-সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করা। একটি সভ্য দেশে এসব চলতে দেওয়া যায় না। জনগণের শক্তির কাছে অপশক্তি, দুষ্কৃতিকারীরা কখনো পেরে ওঠে না, তারা অতীতেও পরাজিত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। আমাদের সরকার ও দল এই দুষ্কৃতিকারীদের মূলোৎপাটন করতে বদ্ধপরিকর। তারা জনগণের শত্রু। জনগণের শত্রুদেরকে জনগণকে নিয়েই প্রতিহত করা হবে।’

নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সে জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, সার্কভূক্ত এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো থেকে শুরু করে অনেক দেশ ও সংস্থা নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘আশা করছি, আগামীকাল (৭ জানুয়ারি) দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে সর্বজনগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মত দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।’ 

Theme images by Jason Morrow. Powered by Blogger.