নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির ৭৬ প্রার্থী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী রবিবার (৭ জানুয়ারি)। এবার দেশের বিভিন্ন আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙ্গল মার্কায় প্রার্থী হয়েছেন দলটির ২৬৫ প্রার্থী। তবে ভোটগ্রহণের শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলটির বেশ কয়েকজন নেতা।
তবে সাধারণ আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা এলেও আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া ২৬টি আসনে দলটির কেউ মাঠ ছাড়েননি।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত লাঙ্গলের ৭৬ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টিকে। কারণ হিসেবে দলের মহাসচিবকে তারা জানিয়েছেন, আর্থিক সক্ষমতা না থাকা ও প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা। তবে এসব প্রার্থী প্রচারে বিরত থাকলেও ব্যালটে বহাল থাকবে নাম।
দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলছেন, অনেকেই দলের কাছে আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কথা জানাচ্ছেন। তবে সে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই সরে দাঁড়াচ্ছেন তারা।
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘যারা নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশে একটা কথা বলব, নির্বাচনে পাস–ফেল তো আছেই। নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জিং গেম। যারা আমাদের দলের প্রার্থীরা আসছে, তাদের তো আমরা আর্থিকভাবে ব্যাকআপ করব এমন আশ্বাস দিইনি। তবে দিতে পারলে ভালো হতো।’
তবে ভিন্নমত জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের। তিনি বলছেন, দলকে বেকায়দায় ফেলতেই কেউ কেউ এই ভোট থেকে সরে যাচ্ছেন। সবাইকে ধৈর্য ধরে মাঠে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন অনেকেই বিভিন্ন কারণে হয়ত অর্থনৈতিকভাবে কুলাতে পারছে না বা পরিবেশ ভালো মনে করছে না অথবা তাদের ওপর নানা হুমকি আসছে। যেকোনো কারণেই হোক তারা অনেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছে।’
জিএম কাদের বলেন, ‘যারা সরে দাঁড়াতে চাই তাদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু প্রত্যাহারের সময় কিছু কারণ বলে একেবারে টেলিভিশনের সামনে স্টেটমেন্ট দিয়ে যারা প্রত্যাহার করছে, আমি মনে করি এটা শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়ের পড়ে। এর মধ্যে কিছু কিছু উদ্দেশ্যমূলকও হতে পারে।’
রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে ২৬টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে বাকি আসনগুলোর প্রার্থীরা নিজেদের অবহেলিত মনে করছেন বলেও জানাচ্ছেন দলটির কোনো কোনো নেতা। কারণ হিসেবে বলছেন, অন্য আসন থেকে সরে দাঁড়ালেও আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া কোনো আসনের প্রার্থী ভোটের মাঠ ছাড়েননি।